নরসিংদীর রায়পুরায় পৃথক দুটি স্থানে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- কাশেম মিয়া (৪৫) ও কর্ণ বিশ্বাস (৬০)
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কড়ইতলা রেলক্রসিং এলাকায় কাশেম মিয়া এবং দুপুরে শ্রীনিধি রেলওয়ে স্টেশন আউটার এলাকায় কর্ণ বিশ্বাসের মৃত্যূ হয়।
নিহত শ্রবণ প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন শ্যালোমেশিন মেকানিক। অপরজন নিহত কর্ণ বিশ্বাস চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের সুচেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুনগর গ্রামের পাশে থাকা রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় পেছন থেকে আসা ঢাকামুখী এগারোসিদ্ধুর এক্সপ্রেস তাকে ধাক্কা দিলে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যূ হয়।
অপর দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন কর্ণ বিশ্বাস দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশে আউটারে পাশ দিয়ে রেললাইন পাড় হতে গেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম গামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যূ হয়। নিহতদের নিজ গ্রামের পাশেই ঘটনা দুটি ঘটায় পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই তাদের পরিবারের লোকজন এসে মরদেহ দুটো বাড়ি নিয়ে যান।
নিহত কর্ণ বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাস জানান, দুপুরে শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পাশে তাঁর বাবা ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। তার বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি যখন যেদিকে ইচ্ছে হতেন সেদিকে চলে যেতেন। ধারণা করা হচ্ছে মেয়ের বাড়ি উত্তর বাখরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। মরদেহ দাহ্যের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান রুমেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের ধক্কায় দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।